পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কুর্চাটোভ শহরে কিয়েভের ড্রোন হামলার পর ক্রেমলিন এ অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, যে দেশগুলো কিয়েভ সরকারকে ড্রোন সরবরাহ করছে, মঙ্গলগ্রহে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটলে কি তারা ড্রোন সরবরাহ বন্ধ করবে? তখন তাদের আর সময় থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর বুঝা উচিত তারা কিয়েভ সরকারকে পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’
এর আগে রাশিয়া জানিয়েছে, দেশটির কুর্চাটোভ শহরে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যেখানে চেরনোবিল প্ল্যান্টের মতো একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে শত্রু পক্ষের ড্রোন হামলা প্রতিহত করছে। তবে, এটি স্পষ্ট যে ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিদ্রোহের পরও ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারকে রাশিয়ায় কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ইউক্রেনে আগের সেই কমান্ডারের অধীনেই লড়াই করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রুশ সংবাদমাধ্যম কোমারসান্টকে দেয়া সাক্ষাৎকার দেন পুতিন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত মাসে ওয়াগনার বিদ্রোহের কয়েকদিন পরই প্রায় তিন ডজন ওয়াগনার যোদ্ধা ও তাদের নেতা প্রিগোজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে প্রিগোজিনকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেন। তার মধ্যে একটি প্রস্তাব হলো, প্রিগোজিন চাইলে তার আগের কমান্ডারের অধীনে একক সেনাদল হিসেবে কাজ অব্যাহত রাখতে পারেন।