জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশ। এশিয়া ও ইউরোপের একাংশে চলছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ।
এরমধ্যেই তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা, ক্যালির্ফোনিয়া, টেক্সাস ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যের অবস্থা মারাত্মক। দেশটির দশ কোটিরও বেশি মানুষ রেকর্ড তাপমাত্রা বাড়ার হুমকিতে রয়েছেন।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) বলছে, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) গ্রীসের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। বন্ধ রাখা হয় জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা অ্যাক্রোপলিস। এতে, দাবানলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্রোয়েশিয়ায় তীব্র দাবদাহে দাবানল দেখা দিয়েছে।
ইতালির রোমে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইউরোপে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০২১ সালের আগস্টে। সেসময় তাপমাত্রা ছিল ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।
এশিয়ার দেশ জাপানে রোববার (১৬ জুলাই) ও সোমবার (১৭ জুলাই) তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এশিয়ার আরেক দেশ চীনের একদিকে বন্যা দেখা দিলেও বেশ কিছু এলাকা তীব্র দাবদাহের কবলে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এ বছরের জুন মাস ছিল ১৭৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ১৮৫০ সাল থেকে বিশ্বে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা হয়।