শুক্রবার মহাকাশে যাত্রা করলো ভারতের একটি রকেট। এই রকেট চাঁদের অজানা এলাকায় নামাবে রোবোটিক রোভার। চার বছর আগে ভারত একবার এমন উদ্যোগ নিয়েছিলো; কিন্তু সে উদ্যোগ সফল হয়নি।
চন্দ্রপৃষ্ঠে নিয়ন্ত্রিত বা নিরাপদ অবতরণ বলতে যা বোঝায়, তা করতে পেরেছে মাত্র তিনটি দেশ; যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া। কিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো যদি এবার সফল হয়, তবে এই মিশন ভারতকে বিশ্বের অন্যতম মহাকাশ-শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
দক্ষিণ ভারতের শ্রীহরিকোটা থেকে এই ‘চন্দ্রযান-৩’ উৎক্ষেপণ করা হয় এবং লাখ লাখ মানুষ এই উৎক্ষেপনের সরাসরি সম্প্রচার পর্যবেক্ষণ করে। আর উৎক্ষেপণ স্থানের দর্শক-গ্যালারিতেও সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ।
উৎক্ষেপণের পর ইসরোর চেয়ারম্যান শ্রীধর পানিকর সোমনাথ বলেন,”ভারতকে শুভেচ্ছা। চাঁদের দিকে চন্দ্রযান-৩ তার যাত্রা শুরু করেছে।” তখন অভিযান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে উপস্থিত বিজ্ঞানীরা করতালি ও করমর্দন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এখন থেকে থেকে কম-বেশি ৪০ দিন পর এই অভিযানের প্রকৃত পরীক্ষা শুরু হবে। কারণ, সেই সময়, অর্থাৎ ২৩ বা ২৪ আগস্ট রোবোটিক রোভার বহনকারী ল্যান্ডার মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার জন্য।
ফ্রান্স সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উৎক্ষেপণ উপলক্ষে টুইট করেন,”এই স্মনণযোগ্য অভিযান আমাদের দেশের আশা ও স্বপ্নকে বহন করে নিয়ে যাবে।”
চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছেও একটি রোভার স্থাপন করবে। আশা করা হচ্ছে সেখানে ১৪ দিন ধরে ধারাবাহিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে। এই পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় চাঁদের মাটি ও পাথরের গঠন-প্রকৃতির ওপর আলাকপাত করা হবে। ইংরেজিতে চন্দ্রযান এর অর্থ হল ‘মুন ভিহেকেল’।
সূএ: ভয়েস অফ আমেরিকা