লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন বুধবার শেষ হয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকায় রাশিয়ার ২০টি ড্রোন ধ্বংসের খবর দিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
ন্যাটো ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানালেও ইউক্রেনকে কখন ন্যাটোর সদস্য করা হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেনি। কেবলমাত্র ‘শর্ত পূরণ হলেই’ ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আহ্বান করা হবে বলে ন্যাটো জানিয়েছে।
এদিকে শিল্পোন্নত সাত দেশের সংগঠন জি-৭-এর নেতৃবৃন্দ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়াকে হারাতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ন্যাটোর কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার ঘোষণা আশা করেছিলেন। তবে সেটি পূরণ না হলেও ন্যাটো ও জি-৭ নেতারা ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাওয়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, তাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জেলেনস্কি।
অবশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা ইউক্রেনীয়রা ন্যাটো সম্মেলনের ফল নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তারা চেয়েছিলেন, এখনই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হোক।
পরমাণু হামলার হুমকি
আগস্ট মাসে ইউক্রেনের পাইলটদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে বলে মঙ্গলবার জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যদিও এখনো কোনো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ দেওয়ার অঙ্গীকার করেনি।
তবে বিষয়টি মস্কোকে ক্ষুব্ধ করেছে। তারা বলছে, ইউক্রেনকে এফ-১৬ দেওয়া হলে সেটিকে ‘নিউক্লিয়ার’ হুমকি হিসেবে দেখা হবে। কারণ এই বিমান পরমাণু বোমা বহন করতে পারে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘এই বাহন যে পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে সেই বিষয়টি রাশিয়া উপেক্ষা করতে পারে না। কোনো ধরনের নিশ্চয়তাই এখানে সহায়ক হবে না।’