ডিসেম্বরে স্কুল পর্যায়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পৌঁছার কথা থাকলেও এবার অনেক এলাকায় পৌঁছেছে মে মাসে। তবে ডিসেম্বর মাসেই বই পৌঁছানো হয়েছে বলে দাবি এনসিটিবির। প্রেস মালিকদের একটি অংশ বলছে, বিশেষ কিছু প্রেসকে বাঁচাতে এবং জবাবদিহি এড়াতেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে এনসিটিবি।
বছরের প্রথম দিন কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পৌঁছে দিয়ে বিশ্বেরেকর্ড করেছে বাংলাদেশ।
তবে প্রতিবছরই কিছু প্রেস মালিক কারসাজি করে একদিকে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপান, অন্যদিকে সক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ বাগিয়ে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বই সরবরাহ করেন।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনসিটিবি নিজেই এবার কাগজের মানে কিছুটা ছাড় দিলেও আরও নিম্নমানের কাগজে বই ছাপিয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান–এমন অভিযোগ খোদ বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খানের।
এ ছাড়া ডিসেম্বরে বই দেয়ার কথা থাকলেও মে মাসে বই সরবরাহ করেও দুটি প্রতিষ্ঠান পার পেয়ে গেছে বলে দাবি তার। অভিযুক্ত প্রেসকে বাঁচাতে এনসিটিবি কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ তোফায়েল খানের। জানান, এনসিটিবির কাছে এর আগে বিভিন্ন জেলা থেকে বই না পাওয়ার চিঠি এসেছে। এরপর সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে দ্রুত বই দিতে তাগাদা দেয়া হলেও সময়মতো বই পৌঁছানো হয়নি।
তবে মে মাসে বিতরণ করা বই ডিসেম্বরে রেকর্ড করার বিষয়টি স্বীকার করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, এসব তথ্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দিয়েছেন।
এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এসব জায়গায় তথ্যের কিছু মিস ম্যাচ হয়। কিন্তু আমরা জানি না আসলে সমস্যা কোথায়। তবে একটা মিস ম্যাচ আছে, আমরা সেটা দেখেছি।’
আগামী বছর আগেভাগেই বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে জানিয়ে যথাসময়ে বই পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদী বোর্ড।