পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নতুন ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলাসহ চারটি প্যাট্রল ক্রাফট ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১২ জুলাই) গণভবন থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভার্চুয়ালি এ নতুন ঘাঁটি উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বরিশালের এ ঘাঁটিটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে এগুলো চালু করেছি। সরকার গঠনের পর আমরা সেটি নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি।’
‘নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার অর্থ হলো, আমরা আমাদের নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করব, নিজেদের যুদ্ধজাহাজ নিজেরা তৈরি করব। এ ছাড়াও আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে যাতে আরও জাহাজ তৈরি হয়, সে জন্য এই ঘাঁটিটি নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেদের দেশে নিজেদের প্রয়োজনে জাহাজ নির্মাণ করতে সক্ষম হওয়ায় নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রসীমার ওপর আমাদের যে অধিকার আছে, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর এই ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতা এসেছে তারা কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। বিএনপি মেরিটাইম অ্যাক্ট তৈরি করেছে ১৯৮২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা মেরিটাইম অ্যাক্ট তৈরি করেছেন ১৯৭৪ সালে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মতো দুর্যোগপূর্ণ দেশে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে প্রচুর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। এ দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে এসব ঘাঁটি সুবিধা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশকারীদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে, আমাদের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে এ ঘাঁটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের এ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শামিল থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়ে নৌবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর সব সদস্যসহ বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটিতে কর্মরত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।