টানা ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধ্বসের কারণে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে আরও ৭ জনের প্রাণহানিসহ এই বন্যায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ জন মারা গেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ১৮ জনই হিমাচলের, ৭জন উত্তরাখণ্ডের। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে মোট ৯ জন এবং উত্তরপ্রদেশের ৩ জন।
চলমান বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি ভারতের হিমাচল প্রদেশ। দুই সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সব নদীর পানির স্তর বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রাজ্যটির বাসিন্দারা। এরই মধ্যে নদীর ধারের বসতবাড়িগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হিমাচল প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার কারণে এরই মধ্যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গত কয়েক দিনে অন্তত ৩৯ জায়গায় ভূমিধ্বসের খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাজ্যের বেশিরভাগ সড়ক-মহাসড়ক। জারি রয়েছে রেড অ্যালার্ট। রাজ্যজুড়ে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গিয়ে এবং ভূমিধ্বসের কারণে রাজ্যটিতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যটিতে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত তিন দিনে উত্তরপ্রদেশে ভারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন অন্তত ৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হরিয়ানাতেও ভূমিধ্বসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অপরিবর্তিত আছে পাঞ্জাব ও কাশ্মীরের পরিস্থিতিও।
ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস, আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এখানেও জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবারও স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।