সুইডেনের পর এবার জার্মানিতে পোড়ানো হলো মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন। গত শনিবার (৮ জুলাই) রাতে জার্মানির বাদেন-ভুরটেমবার্গ রাজ্যের একটি মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
টিআরটির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, তুরস্কভিত্তিক মুসলিম অধিকার সংস্থা তুর্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছে।
তুর্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ওসমান আবিদেল্লি জানিয়েছেন, জার্মানির বাদেন-ভুরটেমবার্গ রাজ্যের মলবর্ন শহরের মিমার সিনান মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, একটি চলন্ত গাড়ি থেকে একটি কোরআন শরীফে আগুন ধরিয়ে দেয়া অবস্থায় ছুঁড়ে ফেলা হয়।
ওসমান আবিদেল্লি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা আমাদের মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখতে পেয়েছি যে, মসজিদের সামনে একটা কিছু ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিটে। পরে সকালে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা মসজিদের সামনে পুড়ে যাওয়া কোরআন শরীফকে দেখতে পান।’
আবিদেল্লি জানিয়েছেন, তারা এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গাড়িটির সামনের হেডলাইট তীব্র হওয়ায় সেটির নম্বর প্লেট দৃষ্টিগোচর হয়নি। এমনকি গাড়িতে কতজন ছিল সেটিও জানতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ এবং দুঃখ প্রকাশ করে আবিদেল্লি বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ আলোচিত ঘৃণ্য ঘটনাটি ঘটেছে সুইডেনের একটি মসজিদের সামনে। পুলিশের অনুমতি নিয়েই সেই ব্যক্তি সেখানে কোরআন পুড়িয়েছিলেন।