রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজিতে দাম কমেছে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
সোমবার (১০ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির দেশের কাঁচা মরিচের বাজার। তবে সরবরাহ বাড়ায় এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আর একটু ভালো মানের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। তবে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। এতে দেশের বাজারেও কমতে শুরু করেছে দাম। মোসলেম হক নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। মূলত ভারত থেকে প্রচুর মরিচ আসছে। এতে দাম কমতে শুরু করেছে।
তবে ক্রেতাদের দাবি, আমদানির পরও বাজারে বাড়তি কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে কার্যকরী মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সুজন নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মরিচ, চিনিসহ সব পণ্যের দাম বেশি। সরকারের উচিত বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা। এতে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে।
মহির মারুফ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সেটা খুবই নগণ্য। ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনেছি ৭০ টাকায়। এক মাস আগেও এক কেজি মরিচের দাম ছিল মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, ক্রেতাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার ঝামেলা এড়াতে মরিচের ঝাকার ওপর দাম লিখে রেখেছেন বিক্রেতারা। তারা বলেন, মরিচ বেচাবিক্রি নিয়ে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। তাই দাম লিখে রেখেছি।
আর মরিচের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলেন, ভারত থেকে মরিচ আসায় দাম কমতির দিকে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই নাগালের মধ্যে চলে আসবে দাম।
এদিকে ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে দুদিন আমদানির পর ঈদের কারণে বন্ধ ছিল মরিচ আমদানি। তবে ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২ জুলাই) থেকে আবারও দেশে আসছে আমদানি করা কাঁচা মরিচ।