Homeসর্বশেষ সংবাদঔষধের দোকানের কর্মচারী দেন হাসপাতালে চিকিৎসা

ঔষধের দোকানের কর্মচারী দেন হাসপাতালে চিকিৎসা

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী।।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় বহিরাগতদের দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়সহ ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
গ্রাম অঞ্চলের গবাদী পশু পালনকারী ক্ষুদ্র খামারীদের অভিযোগ, গবাদী পশু কোন রোগে আক্রান্ত হলে বারবার ফোন করেও হাসপাতাল থেকে কোন চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এমনকি হাসপাতালে গিয়েও কোন চিকিৎসক পাচ্ছেন না তারা। অনেক সময় হাসপাতাল থেকে বহিরাগত ঔষধের দোকানের কর্মচারীদের এনেও চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয় গবাদী পশু পালনকারী ক্ষুদ্র খামারীদের।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের তথ্য মতে, এখানে ১০টি পদের মধ্যে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেনারি সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পদই শূন্য রয়েছে।একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মোঃ আঃ কাদের ও বহিরাগত ঔষধের দোকানের কর্মচারী দিয়ে চলছে গবাদি পশুর চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে চিকিৎসক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা। একজন উপ-সহকারী ভেটেনারি চিকিৎসক অফিস রুমে বসে সাদা কাগজে ঔষধ লিখে দিচ্ছে বাহিরের ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনে আনার পর সেই ঔষধ অবসর প্রাপ্ত ড্রেসার গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি হলে বহিরাগত ঔষধের দোকানের কর্মচারীও চিকিৎসা সেবা দিয়ে দিয়ে থাকেন।
আলাউদ্দিন শেখ সহ কয়েকজন ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারীভাবে গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। বাইরের চিকিৎসক দিয়ে গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে হয়। এতে তাদের হয়রানী ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়।
কয়েকজন খামারী বলেন, তাদের গরু কোন রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ফোন করলেও কোন চিকিৎসক আসে না। হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসকের দেখা মিলে না। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারী চিকিৎসক দিয়ে তাদের গবাদি পশুর চিকিৎসা করাতে হয়।
অবসরপ্রাপ্ত ড্রেসার আঃ কাদের বলেন, জনবল কম থাকায় তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে জেলা ট্রেনিং অফিসার ও গোয়ালন্দে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১০টি পদের মধ্যে বর্তমানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জনসহ ৮টি পদ শূন্য রয়েছে।  তবে খুব দ্রুত শূন্য পদগুলোতে স্ব-স্ব পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী যোগদান করবে। তখন চিকিৎসা সেবায় আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

সর্বশেষ খবর