আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) টিম পাঠাতে পারে বলে ধারণা করছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে ঘণ্টাব্যাপী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় সফররত ইইউ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা।
পরে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে যে মানবাধিকার ইস্যুতে কমিশন বরাবরই কঠোর।’
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শঙ্কা আছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। কমিশন বলেছে যে এখন পর্যন্ত সহিংসতার শঙ্কা নেই; পরিবেশ যথেষ্ট ভালো আছে। তবে কিছু ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন,
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এবার ইইউ টিম পাঠাতে পারে বলে ধারণা করছি।
এর আগে সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর তারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যান। ইইউর এই প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিকার্ডো শোলেরি।
এ ছাড়া রোববার (৯ জুলাই) সকাল থেকে প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। এদিন ঢাকার নিজস্ব দূতাবাসে ব্যস্ত সময় পার করে তারা। বৈঠক করে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইসসহ ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধির সঙ্গে।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং দফতরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রাক পর্যবেক্ষক এ দলটির। কয়েক দফায় বৈঠক হতে পারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে।
দলটি মতামত বিনিময় করবে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর সঙ্গে। অগ্রগামী এ দলটির প্রতিবেদনের ওপরই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না।
ইইউর প্রাক-নির্বাচনী এই পর্যবেক্ষক দলের ২৩ জুলাই ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।