খুব শিগগিরই তথ্য সুরক্ষা আইন আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে তিনি একথা জানান।
তথ্য সুরক্ষা আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে পলক বলেন, তথ্য সুরক্ষায় ব্যক্তিগত তথ্য, প্রতিষ্ঠানের তথ্য, ক্লাসিফাইড তথ্য, এক্সক্লুসিভ তথ্য, ওপেন তথ্য এগুলো ভাগ করে আমরা তিনটি ক্লাসিফিকেশন করছি।
তিনি বলেন,
খুব শিগগিরই ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট আসছে। আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে এনেছি। তথ্য সুরক্ষার জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যতগুলো সুপারিশ পেয়েছিলাম সেসব সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট আসছে।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডার সাম্প্রতিক সময়ের আইন এবং ইউএসএ এবং জাতিসংঘের সিভিপিআর এগুলো সব স্টাডি করে সবার মতামতের ভিত্তিতে আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
পলক বলেন,
‘খুব জলদিই ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা সংসদে উপস্থাপন করতে পারব।’
এর আগে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে তথ্যকে টাকার চেয়েও মূল্যবান বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমে ভাবতাম টাকাকে বাঁচানোই সাইবার সিকিউরিটির কাজ। কিন্তু বর্তমান সময়ে টাকার চেয়েও দামি হয়ে উঠছে তথ্য। তথ্য হচ্ছে পরবর্তী টাকা, তাই আমাদের ডেটা প্রাইভেসি এবং ডেটা প্রটেকশন নিয়ে ভাবতে হবে।
যেই প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে এতে তাদের কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, অবশ্যই তাদের গাফিলতি রয়েছে। যারা এখানে দায়িত্বে অবহেলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
পলক বলেন, ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো আমরা ঘোষণা করেছিলাম, সেটার সংখ্যা কিন্তু ধাপে ধাপে বাড়ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার থ্রেইডসটা হওয়ার পর যাতে আমাদের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল তার পরেই আমরা সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব অনুভব করতে পেরেছিলাম। এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর তালিকায় যেই প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা আইডেনটিফাই করেছিলাম সেই প্রতিষ্ঠানটিই কিন্তু এমন অবস্থায় পড়ল।
পলক বলেন, সর্তক করা সত্ত্বেও আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা। তাদের গাফিলতিতে রাষ্ট্রের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন,
যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে আমরা সনাক্ত করেছি তাদের আলাদা করে কম্পিউটার ইনসিডেন্ট এবং ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম থাকতে হবে
ভুল যারই হোক ক্ষতি হয়েছে দেশের এমনটা জানিয়ে পলক বলেন, সরকারের একজন কর্মচারী হওয়ায় আমার যতটুকু করা প্রয়োজন ততটুকু করছি। আগামীকালকে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সব সংস্থা নিয়ে বসে আমাদের বর্তমান স্ট্যাটাস কী এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী সব নিয়ে আলোচনা করব।