সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে দেশের রফতানি আয় বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সোমবার (৩ জুলাই) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রফতানি আয় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৫৫৮ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছিল ৫২ হাজার ৮২ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৯৯১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
আর তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ২৫ হাজার ৭৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ২১ হাজার ২৫৩ দশমিক ৪১ মিলিয়ন এসেছে বোনা পোশাক রফতানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৩২ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম।
এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে ৮৪৩ দশমিক ০৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৩ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলারে, যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ২৪৫ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার।
আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুনে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ৩১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল রফতানি আয় ছিল ৪ হাজার ৯০৮ দশমিক ০৩ মিলিয়ন ডলার।
এদিকে সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহও। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৫৭ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার বেশি।