Homeসারা দেশময়মনসিংহআধা ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পানি থৈ থৈ, ভোগান্তি চরমে

আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পানি থৈ থৈ, ভোগান্তি চরমে

মাত্র আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ময়মনসিংহ নগরীর অলিগলি, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট ডুবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চারিদিকে পানি থৈ থৈ অবস্থা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর নতুন বাজার রেলক্রসিং, বাঘমারা, সেহড়া, চামড়া গুদাম, ব্রাহ্মপল্লী, সিকে ঘোষ রোডের ছায়াবানী হল, কেওয়াটখালি, মাসকান্দা, চরপাড়া মোড়, কপিক্ষেত, নয়াপাড়া, গুলকিবাড়ী, মোহাম্মদ আলী রোড, আউটার স্টেডিয়াম, বলাশপুরসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০টি এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলাবদ্ধতায় এসব পানি ব্যবহারে দেখা দিয়েছে খুজলি-পাঁচরাসহ নানা চর্মরোগ।

এলাকাবাসী জানান, মাত্র আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ময়মনসিংহ নগরীর অলিগলি, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়ি ও দোকানে ভেতরেও পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে বলেও জানান তারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নগরীর পানি নিষ্কাশনের নামে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করছে। তারপরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

নগরীর চরপাড়া ও আকুয়া এলাকার করিম, রাবেয়া, রবিউলসহ কয়েকজন জানান, এ জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ নগরীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান তিনটি খাল ভরাট ও অবৈধ দখল। নগরীর প্রধান তিন খাল সেহরা, মাকড়জানি ও কাটাখালিতে খনন ও উচ্ছেদ না করায় ময়লা-আবর্জনা জমে ভরাটসহ জবরদখল হয়ে গেছে। খালগুলোর ওপর অনেক বহুতল স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। নগরীর ড্রেনের পানি এসব খাল দিয়ে নদীতে গিয়ে নামে। এই খালগুলো ভালোভাবে খনন না হওয়া ও অবৈধ দখলের কারণে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে না।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ চলছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। বর্তমানে এ জলাবদ্ধতা নিরসনে জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শও দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দুটি প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ নগরের সড়ক ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলছে। সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক নাগরিক সেবা আওতায় ২০২০ সালে এক হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪৫ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২০২৪ সালে প্রকল্পটির কাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর