প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। আর এ দলের নেতৃত্বেই দেশের সব খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে খুলনা, গাজীপুর ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত তিন মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
ধারাবাহিকভাবে দল ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশের সব খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে মানুষের সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং করাই ছিল বিএনপি-জামায়াতের মূল লক্ষ্য – একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণেই দেশে অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল।
এ সময় নবনির্বাচিত মেয়রদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছেন; তাই তাদের উন্নয়ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। জনগণের সেবক হয়ে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করবেন বলেও আশা করি।’
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শপথ নেন খুলনা, গাজীপুর এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত তিন মেয়র। একই সময়ে এসব সিটির কাউন্সিলররা শপথ নেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে।
গত ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার মো. আব্দুল আউয়াল পান ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
একই দিনে বরিশাল সিটির নগরপিতা হন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ফল অনুযায়ী বরিশালের নতুন মেয়র নৌকা প্রতীকে পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
গত ২৫ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পান ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। তাদের ভোটের ব্যবধান ১৬ হাজার ১৯৭।