যেসব অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মানুষের ভোগান্তি তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বলেন, আমাদের দেশে যখন কোনো উৎসব হয়, তখন কিছু কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে, তারা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়।
রোববার (২ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করলে জনগণের ভোগান্তি তৈরি হবে বলে যে বক্তব্য সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কোনো দ্রব্যমূল্য কমেছে। তবে ভোগ্যপণ্য অনেকগুলোর দাম বেড়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের দেশে যখন কোনো উৎসব হয়, তখন কিছু কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে, তারা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, উৎসবগুলোতে অন্য দেশগুলো দ্রব্যমূলের দাম কমায়, আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা বাড়ায়। এটি অবশ্যই আমাদের জনগণের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে, যা আমরা স্বীকার করি। যারা এটি করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
`বাণিজ্যমন্ত্রী কী বলেছেন, তা নিয়ে আমি বলতে চাই না। তবে আমরা মনে করি, যারা এই অসাধু ব্যবসায়ী, মানুষের ভোগান্তি তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সরকার সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
সেই সময় এখনও কী আসেনি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় করা হয়। তখন পণ্যমূল্য কমে। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যমূল্য বাড়লে আমাদের দেশেও বাড়ে, অনেক ভোগ্যপণ্য আমদানি নির্ভর, যে কারণে দাম বাড়ে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নানা ধরনের সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়ানো হয়। সেটির বিরুদ্ধে আগের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকারি সংস্থাগুলো।’
‘ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যারাই এটি করবে, তাদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী এরইমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। অনেক ক্ষেত্রে করা হয়েছে, সামনেও করা হবে।’
আইটিভির বিরুদ্ধে অভিযান কতদিন চলবে, এমন কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করিনি। সময়টা নির্ধারণ করবে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি, অবৈধভাবে পরিচালিত আইপিটিভি এবং ইউটিউবের নামে যারা চাঁদাবাজি ও মানুষের চরিত্রহরণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোনো কোনো জেলা প্রশাসন ঈদের আগেই অভিযান পরিচালনা করেছে, বাকিরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে।