Homeসর্বশেষ সংবাদশরীয়তপুরে পরিবহন সেক্টরে চরম নৈরাজ্য

শরীয়তপুরে পরিবহন সেক্টরে চরম নৈরাজ্য

মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥

শরীয়তপুরে পরিবহন সেক্টরে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। দফায় দফায় ভ্রাম্মমাণ আদালত কর্তৃক বাস চালকদের জরিমানা করা হলেও থামানো যাচ্ছে না অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। রবিবার দুপুরে শরীয়তপুর বাস-স্ট্যান্ডে সরেজমিন গিয়ে দেখো গেছে, পরিবহন মালিকদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে যাত্রীরা দিশেহারা।

যাত্রীরা কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন, আবার কেউ বাসের স্টাফদের দ্বারা যাত্রীসাধারণরে সাথে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগ করছেন। ঈদে ঢাকা থেকে ঘরমুখো লোকজন থেকে যেমন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ছিল, এখন ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার বেলাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এতে করে যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। ঢাকা থেকে সুপার সার্ভিস পরিবহন বাসে শরীয়তপুর আসছেন রিপন। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ি বাস-স্ট্যান্ড থেকে শরীয়তপুর বাস-স্ট্যান্ড পযর্ন্ত আসতে তাকে ভাড়া গুণতে হয়েছে ৫শ’ টাকা। অথচ পূর্বে এ ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। একটু কম দিতে চাইলে কন্ট্রাক্টর তার সাথে রূঢ আচরণ করেছেন। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছেন সাব্বির হোসেন। তাকেও ভাড়া গুণতে হয়েছে ৫শ’ টাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ পরবর্তী শরীয়তপুর জেলায় আগত যাত্রীসাধারণের নিকট অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৮০ নম্বর ধারায় ৪ টি বাসের ড্রাইভারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং যাত্রীদের নিকট থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের ফেরত প্রদান করা হয়েছে। এসময় গাড়ী চালক ও পরিবহণ মালিক সমিতিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্য সর্তক করা হয়েছে। এদিকে বরাবরের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার পক্ষে সাফাই গাইছেন বাস মালিক সমিতির কর্তাব্যক্তিরা।

শরীয়তপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আমরা আগে শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে ২৫০ টাকা ভাড়া আদায় করতাম। আমরা কম আদায় করতাম। এখন এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে। তাই আজ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি চন্দ্র বিকাশ বলেন, বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। ভ্রাম্মমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।

Exit mobile version