শখের বশে মানুষ কত কিছুই না করে। যার আরেকবার প্রমাণ দিলেন ব্রিটিশ কন্যা মস গ্রিন। সম্প্রতি তিনি মানুষ না মৎস্যকন্যা হিসেবেই জীবনের স্বাদ উপভোগ করছেন।
পেশায় মশ গ্রিন ছিলেন শিক্ষিকা। তবে এ পেশায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। মানুষের জীবন থেকে তার মৎস্যকন্যার জীবনই বেশি আকৃষ্ট করতো।
একদিন হঠাৎ মৎস্যকন্যা হয়ে ওঠার শখ তার মাথায় একেবারে ঝেঁকে বসলো। তাই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে ব্রিটেন থেকে ইতালিতে পাড়ি জমালেন মস।
৩৩ বছর বয়সী মস মৎসকন্যা হওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করতে প্রথমে একটি কোচিংয়ে ভর্তি হন। সেখানে দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন মৎস্যকন্যার জীবন যাপনের। দীর্ঘ সময় পানিতে অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া ডুবে থাকার অনুশীলনও ভালোভাবে রপ্ত করে নেন তিনি।
এরপর ম্যাজিক্যাল মারমেড এর পোশাক কিনেন। যা পরে পুরোপুরি বাস্তবের মৎস্যকন্যা হয়ে উঠেন মস। এরপর পেশা হিসেবে মৎস্যকন্যার জীবনই বেছে নিতে চান তিনি। তাই ফিল্ড ভাইভায় মৎস্যকন্যা হিসেবে কাজে যোগ দেন।
ইন্সটাগ্রামে এখন অনেক ছবি আপলোড করছেন মস। ওইসব আপলোড করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মৎস্যকন্যা হয়ে একেবারে প্রকৃতি আর সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থান করছেন তিনি।
বাস্তব কিংবা বিজ্ঞানে মৎস্যকন্যার অস্তিত্ব না থাকলেও পশ্চিমা বিশ্বে বিভিন্ন বড় বড় পার্কে বিনোদনের বড় খোরাক দিচ্ছে মৎস্যকন্যার পেশা। আর সে পেশায় নিজেকে জড়িয়ে এখন বাস্তব আর স্বপ্নকে একসঙ্গে আঁটকে নিয়েছেন ব্রিটিশ ললনা মস গ্রিন।