আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০২০ সালে ম্যানচেস্টার সিটিকে দুই বছরের জন্য ইউরোপিয়ান ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উয়েফা। পরে ম্যানচেস্টার সিটি আপিল করলে আদালত সে সিদ্ধান্তকে বাতিল ঘোষণা করে। তবে এবার সেটাকে আলোচনায় নিয়ে এলো এক ইউটিউবার।
আদালত বাতিল করে দেয়ায় উয়েফার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তখন খুব একটা বিতর্ক ছড়ায়নি। এছাড়া বাতিল হয়ে যাওয়ায় উয়েফার সেই তদন্তের রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। তবে সম্প্রতি এক ইউটিউবারের ভিডিওতে সেই বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও নজরে আসে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টাইমসের।
ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তের সেই রিপোর্টে উয়েফার ক্লাব ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল বডির বিচারক কমিটি সিটির অর্থনৈতিক বিষয়ে ব্যাপক গড়মিল পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে জালিয়াতির কথাও লিখেছেন তারা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পন্সরশিপ আয়ের কথা বলে মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছিল ক্লাবটি।
উয়েফার শৃঙ্খলামূলক শুনানিতে জানানো হয়, ইতিসালাত টেলিকমিউনিকেশন ফার্ম থেকে জাবের মোহাম্মদ নামে এক দালালের মাধ্যমে ২০১২ এবং ২০১৩ সালে দুটি ১৫ মিলিয়ন ইউরোর স্পন্সরশিপ পেমেন্ট নিয়েছে সিটি। তবে ২০১৫ সালে সেই ৩০ মিলিয়ন অর্থ আবার সিটির মালিকদের ফিরিয়ে দেয় ইতিসালাত। এ কারণে উয়েফা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, মূলত স্পন্সরশিপের ছদ্মবেশে মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছিল সিটি। তবে ভিডিও প্রকাশের পর উয়েফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কিছুই জানায়নি ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
প্রিমিয়ার লিগে সিটির বিরুদ্ধে চলমান মামলায় ইতিসালতের অর্থপ্রদান অন্তর্ভুক্ত কিনা সেট এখনও স্পষ্ট নয়। লিগের আর্থিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং তদন্তে সহযোগিতা না করার কারণে বর্তমানে সিটির বিরুদ্ধে ১১৫টি অভিযোগ রয়েছে।