যশোরে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২নিহত হয়েছে। যশোর খুলনা মহাসড়কের রূপদিয়া বাজারের কাছে পিকআপ, তেলের লরি ও কার্গোট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পিকআপ চালক রাজিব তালুকদার (৩০) ঘটনাস্থলে মারা যান।
যশোরের নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইন্সপেক্টর হামিদ উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোর থেকে একটি পিকআপ (ঢাকামেট্রো ন-১৫- ২২৪৩) দিকে যাচ্ছিল। একই সময়ে তেলবাহি লরিটিও (যশোর ড -১১- ০৬৩৬) খুলনার দিকে যাচ্ছিল। তারা মহাসড়কের রূপদিয়া বটতলায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কার্গো ট্রাকের (চট্টমেট্রো ট-১১-৯৫৫৮) ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপ চালক রাজিব তালুকদার ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত রাজিব বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লাফাদি এলাকার হাকিম তালুকদারের ছেলে।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইন্সপেক্টর হামিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য চালকরা পালিয়েছে।”
অপার দিকে একই সময়যশোরের খাজুরায় দুটি মোটরসাইকেল ও ইটভাটার মাটিবাহী ট্রলির সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আশরাফুল ইসলাম (৪০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (৩০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (২২ জুন) বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খাজুরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার একই ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশরাফুল তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে খাজুরা বাজারে যাচ্ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আশরাফুল মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইটভাটার মাটিবাহী ট্রলির সঙ্গে আঘাত পেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয়রা আশরাফুল ও তার স্ত্রী চম্পাকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, অপরিচিত মোটরসাইকেলটি কালীগঞ্জের দিকে পালিয়ে গেছে। মাটিবাহী ট্রলিটি জহুরপুর বাজার এলাকার লস্কর ব্রিকসের।
জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন মিটিংয়ে আছেন, পরে ফোন দিতে বলে লাইন কেটে দেন।
জানতে চাইলে খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সবেদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। বৃষ্টির কারণে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। বৃষ্টি থামলেই যাব।