মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাহিরকুশিয়া গ্রামে নিজ মাকে বটিদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে জাহিদ মাঝি নামে এক পাষন্ড। স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত জাহিদ মাঝিকে (২৫) আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
জাহিদ মাঝি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, মা তাকে ধর্মীয় কাজে বাধা দিতেন, এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। জাহিদ মাঝির পিতা সেলিম মাঝি বলেন, ছেলের মাথায় সমস্যা আছে। ওকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হোক।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সেলিম মাঝি পাশের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে এসে স্ত্রী নারগিছ বেগম ও পুত্র জাহিদ মাঝিকে বাড়িতে রেখে ঘড়িসার বাজারে দোকানে চলে যান। রাতে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী নারগিছ বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ছেলে জাহিদকে আটক করে। এসময় নিজ মাকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন তার ছেলে জাহিদ মাঝি। হত্যার বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্ত জাহিদ মাঝি বলেন, আমি মুনাফিক মাকে খুন করেছি। দীর্ঘদিন আমাকে ধর্মীয় পথে চলতে বাধা দিতেন আমার মুনাফিক মা। আমি একজন অমুসলিমকে খুন করেছি। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ছেলে মা কে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কি কারণে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।