মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ দেশটির শীর্ষ নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। ব্লিঙ্কেনের চীন সফর অনেকটাই ফলপ্রসূ হয়েছে। আর তাই ব্লিঙ্কেনের প্রশংসায় মুখ খোলেন বাইডেন। খবর ফরচুন ম্যাগাজিনের।
সোমবার (১৯জুন) ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি তহবিল সংগ্রহকারী অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ব্লিঙ্কেন দারুণ কাজ করেছেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।’
রোরবার (১৮ জুন) বহুল আলোচিত চীন সফর শুরু করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। এদিন তাকে দিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউসে অভ্যর্থনা জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাং। দিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউস একটি বিলাসবহুল ভবন যেখানে সাধারণত সফরকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থাকতে দেয়া হয়।
সোমবার (১৯ জুন) ঐতিহাসিক সফরটি শেষ হয়। সফরে ব্লিঙ্কেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিবিসির প্রতিবেদন মতে, ব্লিঙ্কেনের দুদিনের বেইজিং সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ব্লিঙ্কেন সোমবার (১৯ জুন) চীনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। শি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য ব্লিঙ্কেনকে আরও কিছু করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে ব্লিঙ্কেন ‘আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন’ বলে তিনি আশা করেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের বোঝাপড়া সবসময়ই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতাভিত্তিক হওয়া উচিত। শি জিনপিং বলেন, ‘আমি আশা করি, এই সফরের মাধ্যমে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে আপনি (ব্লিঙ্কেন) আরও ইতিবাচক অবদান রাখবেন।
বৈঠকের পর জিনপিং বলেন, দুদেশের উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষই বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। অন্যদিকে ব্লিঙ্কেন জোর দিয়ে বলেন, ‘উভয়পক্ষই আরও আলোচনার জন্য প্রস্তুত’। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন যে, ‘উভয়পক্ষের মধ্যে এখনও বড় মতপার্থক্য রয়েছে’।