আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ ডুবোযানের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অনুসন্ধানকারী দল। টাইটান নামে ওই যানটির পানির নিচে থাকার জন্য আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। খবর এনডিটিভির।
মার্কিন কোস্টগার্ড বলছে, একটি সাবমেরিন ও সনার যন্ত্রের সাহায্যেই পানির নিচে ডুবে যাওয়া যানটি খোঁজা হচ্ছে। আর ওপরিভাগে এটা ভেসে উঠেছে কিনা তা দেখতে বিমান দিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
যানটিতে থাকা পর্যটকদের জীবিত উদ্ধারের জন্য এই অভিযান বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পরিচালনা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে ডুবোযানটিতে থাকা অক্সিজেন শেষ হতে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে।
মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পানির নিচে থাকার সক্ষমতা শেষ হবে টাইটানের। ফলে অক্সিজেনের অভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পড়বেন আরোহীরা।
ডুবোযানটিতে পাইলট এবং ক্রু ছাড়াও তিনজন পর্যটক আছেন। এদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং। বাকি দুইজন পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেল সুলেমান দাউদ।
১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে টাইটানিক। প্রথম সমুদ্রযাত্রায় মাঝপথে বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী জাহাজটি। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
১৯৮৫ সালে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিকের সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে এর ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকেই বহু সংস্থা তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে। মাঝে মাঝেই পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় সেই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে। আট দিনের এই ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার খরচ করতে হয় পর্যটকদের।