সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সোমবার (১৯ জুন) সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ তিস্তাপাড়া এলাকার সফিয়ার রহমানের ছেলে মনির হোসেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রবাসীর স্ত্রী মোছা: তাসমিন আক্তার গর্ভবতী তাকে চেকাপ করার জন্য বুধবার (১৪ জুন) দেবীগঞ্জে হিউম্যান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।সেখানে ডা.হাসনাত তানজিল চেকাপ করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেয়।পরে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর ডা. হাসনাত তানজিলা জানায় পেটে একটি বাচ্চা রয়েছে এবং বাচ্চার পজিশন খুব ভালো আছে, কোনো সমস্যা নাই।
তখন তিনি কিছু ঔষুধ এইচপিসি ডিএস ৫০০এমজি নামের একটি ইনজেকশন লিখে দেয় এবং এই ইনজেকশনটি নিয়ে আনায় পুশ করে দেন।কিছুক্ষণ পর থেকেই ওই নারীর রক্ত ও পানি ঝরে।মুঠোফোনে ডাঃ হাসনাত তানজিলাকে জানালে ঔষুধ গুলো খাওয়ালে ঠিক হয়ে যাবে বলেন।কিন্তু রোগীর অবস্থা বেগতিক হওয়ায় শুক্রবার দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলেন পেটে দুটি বাচ্চা রয়েছে এবং বাচ্চা দুটি পানি শূণ্যতার কারণে মারা গেছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে গরিব মানুষ হওয়ায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সেভেন স্টার ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে নরমালে দুটি মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।
মনির হোসেন বলেন,হিউম্যান ক্লিনিকের মালিক রতন চন্দ্র ও আব্দুল কাদের অতি লাভের আশায় ভূয়া ডা: হাসনাত তানজিলাকে দিয়ে সাধারণ মানুষদের অপচিকিৎসা করাচ্ছে।ভাবীকে আল্ট্রাসনোগ্রাম না করেও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে এবং ভুল চিকিৎসা দিয়ে আমার ভাবীকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেয় এবং আমার ভাবীর পেটের দুটি সন্তানকে হত্যা করে।এসময় তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে ডা:হাসনাত তানজিল সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি ধরেননি।
হিউম্যান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রোপাইটর রতন চন্দ্র জানান, পেটে বাচ্চা ১ টা না দুইটা এটা ভুল হতে পারে। ভূল চিকিৎসার বিষয়টি চিকিৎসক তদন্ত করলে জানা যাবে।