বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এখন এশিয়া সফরে। চীনের বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া আলবিসেলেস্তেদের এই সফর শেষ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এ ম্যাচেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি।
সোমবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইন্দোনেশিয়ার গেলোরা ব্যাংকর্নো স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ফিফা র্যাংকিংয়ে শীর্ষ দল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১৪৯ নম্বর দল ইন্দোনেশিয়ার লড়াইটা একপেশেই হওয়ার কথা। এমনকি বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়েই সহজে উতরে যাওয়ার কথা স্ক্যালোনির শিষ্যদের। অবশ্য তিনি জানিয়েছেনও এই ম্যাচে তরুণদের বাজিয়ে দেখতে চান। যে কারণে স্কোয়াড থেকে ছুটি দিয়েছেন লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও নিকলাস ওতামেন্ডিকে।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। তবে বয়সভিত্তিক ফুটবলে মাত্র একবার এই দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাস আছে। ১৯৭৯ সালে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের সে ম্যাচে ৫-০ গোলে জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। সেই সঙ্গে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রামন দিয়াজ।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে না খেললেও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বেশকিছু ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে আর্জেন্টিনার। তাতে অবশ্য তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জয়ের পাল্লাটাই ভারী। এশিয়ার পরাশক্তি জাপানের বিপক্ষে মতো ৮ ম্যাচ খেলে ৭টিতেই জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বাকি একটায় অবশ্য হারতে হয়েছে তাদের।
এশিয়ার আরেক পরাশক্তি সৌদি আরবের বিপক্ষে মোট পাঁচ ম্যাচ খেলে ২টি করে জয় ও ড্র পেয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে কাতার বিশ্বকাপে সবশেষ দেখায় সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বসে তারা। এদিকে কাতারের বিপক্ষে ২ ম্যাচ খেলে দুবারই জয় পেয়েছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এশিয়ার আরেক দেশ ইরানের বিপক্ষেও দুবার খেলেছে আর্জেন্টিনা। এই দুই ম্যাচেও জয় পেয়েছে তারা। জয় পেয়েছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা একমাত্র ম্যাচেও।
তবে ইরাকের বিপক্ষে দুবারের সাক্ষাতে একবার জয় পেলেও আরেকবার হারের স্বাদ পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ১৯৮৪ সালে মেরলিয়ন কাপে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারায় ইরাক। হেরেছে চীনের বিপক্ষে খেলা একমাত্র ম্যাচেও। ১৯৮৪ সালে কলকাতায় নেহেরু কাপের সেই ম্যাচে অবশ্য সেরা দল খেলায়নি আর্জেন্টিনা। এছাড়া ভারত, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলা ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।