লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পরবর্তী ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে যাদের কথা ভাবা হচ্ছে, কিলিয়ান এমবাপ্পে তাদের অন্যতম। পিএসজির এই ফরাসি তারকা এরই মধ্যে জিতেছেন বিশ্বকাপ। ৫৬ বছর পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছেন। বিশ্বের সেরা ক্লাব মুখিয়ে আছে এমবাপ্পেকে পেতে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জয়, ২২ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুটও জেতা শেষ তার। দুই বিশ্বকাপেই দলকে ফাইনালে তুলেছেন। করেছেন ফাইনালে গোল। ক্লাব পর্যায়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়া জিতেছেন প্রায় সব শিরোপা। তারপরও এমবাপ্পের সামর্থ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন জোসে লুইস চিলাভার্ট।
চিলাভার্টের পরিচয় হচ্ছে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ের কিংবদন্তি গোলরক্ষক। গোলরক্ষক হলেও তিনি গোল ঠেকানোর পাশাপাশি গোল করাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। গোলরক্ষকদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ গোল করেছেন তিনিই। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা এই কিংবদন্তি মনে করেন, এমবাপ্পে যদি লাতিন আমেরিকায় খেলতেন, তবে তিনি একজন গড়পড়তা ফুটবলার হতেন।
তিনি এমন মন্তব্য অবশ্য করেছেন এমবাপ্পের এক কথার জেরেই। কাতার বিশ্বকাপের আগে এমবাপ্পে বলেছিলেন, ইউরোপের ফুটবল লাতিনের ফুটবলের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। তার সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে লাতিন-ইউরোপ যুদ্ধ জমে ওঠে নতুন করে। কাতার বিশ্বকাপে এমবাপ্পের ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা দারুণ এক জবাবও দিয়েছিল।
তবে সেখানেই থেমে নেই ব্যাপারটা। যখনই যে সুযোগ পেয়েছে এমবাপ্পেকে খোঁচা দেওয়ার, সুযোগটা ছাড়েননি। এবার খোঁচা দিলেন চিলাভার্ট।
এমবাপ্পেকে নিয়ে চিলাভার্ট বলেন, ‘এমবাপ্পে বলেছিল, দক্ষিণ আমেরিকা ভালো ফুটবল খেলে না বা ভালো পর্যায়ে নেই। আমি তাকে লা পাজ বা কিটোতে উঁচু পাহাড়ে খেলতে দেখতে চাই । কিংবা ব্রাজিলে অ্যাওয়ে খেলতে দেখতে চাই। এখানে সে খুবই সাদামাটা খেলোয়াড় হতো। এখানে সে আগে থেকেই অনুমান করা যায়, এমন খেলোয়াড় হতো। অবশ্যই সে গতির কারণে সুবিধা পাবে। তবে পেছনে একজন ডিফেন্ডার লাগিয়ে রেখে আমরা তাকে ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতাম।’
চিলাভার্টের এই মন্তব্য নিয়ে এখন চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা। কেউ তাকে সমর্থন দিলেও কেউবা আবার বিদ্রুপও করে নানা কথাও শুনিয়ে দিচ্ছে।