যুক্তরাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে । যাদের মধ্যে ৪০ জনকে তাদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে শুরু হয় এ অভিযান।
অভিযানের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নর্থ লন্ডনের ব্রেন্টে ইমিগ্রেশন ইনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পরিদর্শনে যোগ দেন।
নীতিমালা ভঙ্গ করে ব্রিটেনে কাজ করছেন বিপুলসংখ্যক অভিবাসী। অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে এবার সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে দেশটির সরকার। লন্ডনসহ পুরো দেশের রেস্টুরেন্ট, সেলুনসহ বিভিন্ন দোকানে পরিচালনা করা হচ্ছে আকস্মিক অভিযান। যাতে করে অভিবাসীরা অবৈধভাবে কাজ না করতে পরে।
গত শুক্রবার একদিনেই শতাধিক অভিবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৪০ জনকে তাদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ব্রিটেন সরকার।
আটককৃতদের অনেকে আইনি সহায়তার মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনজীবীরা। এতে অন্তত জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেয়া ঠেকানো সম্ভব হয় বলে মত তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে উদ্বেগ বাড়ছে। যেসব বাংলাদেশির কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের মধ্যে বেশ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতায় থাকাকালে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি আলোচনায় এলেও এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।