টানা দ্বিতীয়বারের মতো নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে স্পেন। গতবারের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ট্রফি জেতার সুযোগ লা রোজাদের সামনে। অন্যদিকে, উড়ন্ত ক্রোয়েশিয়ার সামনে সুযোগ প্রথমবার কোনো মেজর ট্রফি জেতার। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা দলটা আছে বেশ ছন্দে। রটারডামে রোববার (১৮ জুন) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে মাঠে নামবে দুদল।
গতবারের নেশন্স লিগ ফাইনালটা নিশ্চয়ই এখনও পোড়ায় স্পেনকে। শুরুতে লিড নিয়েও এমবাপে-বেনজেমাদের কাছে ট্রফি হারিয়েছিল স্প্যানিশরা। দুই বছরের মাথায় আবারও একই মঞ্চে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ম্যানসিটির হয়ে জয়সূচক গোল করা রদ্রিও আছেন নেশন্স লিগের ফাইনাল মঞ্চে। ট্রেবল জয়ের উৎসব শেষেই জাতীয় দায়িত্বে ছুটে এসেছেন স্প্যানিশ এই ফুটবলার।
বৃহস্পতিবার সেমির লড়াইয়ে ইতালিকে হারানোর পর ফাইনাল নিয়ে তিনি বলেন,
এখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ট্রফিটা জেতা। বহুদিন হয়ে গেল আমরা কোনো ট্রফি জিতিনি। কাজেই এটা আমাদের সামনে একটা সুযোগ।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোল থেকেই বিদায় নিয়েছিল স্পেন। ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বেও দলের অবস্থান খুব একটা সুবিধাজনক নয়। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরেছে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। এতকিছুর মধ্যে স্পেন শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে নেশন্স লিগের পারফরম্যান্স। শিরোপা জিততে তাই সেরাটাই দিতে চাইবে স্প্যানিশরা।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখা ক্রোয়েশিয়া আছে উড়ন্ত ফর্মে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালিস্টদের সামনে এটা প্রথমবার কোনো বড় ট্রফি জয়ের সুযোগ। দলের সেরা তারকা লুকা মদ্রিচের সামনেও এটা শেষবার ট্রফি জয়ের সুযোগ। তাই নেশন্স লিগের শিরোপা বেশ ভালোভাবেই হাতছানি দিচ্ছে ক্রোয়েটদের।
প্রথমবারের মতো বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের সম্ভাবনায় ক্রোয়েশিয়ার কোচ দালিচ বলেছেন,
পদক থেকে আর এক জয় দূরে ক্রোয়েশিয়া। এটা অসম্ভব, পরাবাস্তব লাগে, কিন্তু আমাদের দেশ এর দাবি রাখে। সত্যিই এটা এমনই এক জয় হবে যা ইতিহাসে লেখা থাকবে।
উয়েফা নেশন্স লিগে এটা তৃতীয় ফাইনাল। ২০১৯ সালের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পর্তুগাল ও ২০২১ সালে স্পেনকে হারিয়ে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হয়। তৃতীয় মুকুটটা কাদের হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।