গাজীপুরে অস্ত্র হাতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৭ জুন) বিকালে কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডমিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। হামলার প্রতিবাদে উভয়পক্ষ তাৎক্ষণিক আলাদা আলাদা স্থানে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আহতরা হলেন: উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, আলেয়া বেগম, আনোয়ার হোসেন, অপু আহমেদ, মামুন ভূইয়া, মো. আকাশ, নওশাদ হোসেন, আদম আলী, লিয়াকত হোসেন, সাব্বির হোসেন ও কবির হোসেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ওঠান বৈঠক শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ওঠান বৈঠক করেন এবং শনিবার বিকালে উপজেলার পূর্বচান্দরা বোর্ডমিল এলাকায় ঈদগাহ মাঠে ওঠান বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই ওঠান বৈঠকে যোগ দিতে যান। ওই ঈদগাহ মাঠে তালা ঝোলানো থাকায় রেজাউলের নেতাকর্মীরা সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এ সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামের লোকজন সেখানে পৌঁছালে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পক্ষের নেতাকর্মীরা কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ ছাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পক্ষের নেতাকর্মীরা পূর্বচান্দরা বোর্ডমিল এলাকায় আলাদা একটি মিছিল বের করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, সেটি আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। তাদের পেছনে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।