গ্রিসের দক্ষিণ উপকূলে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জনের দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটি লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীদের বেশিরভাগই ২০ বছর বয়সী। তারা সবাই পুরুষ। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জাহাজটিতে ৫শ থেকে ৭শ যাত্রী ছিল। আর তারা লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি বিমান মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ গ্রিসের উপকূলীয় শহর পাইলোসের প্রায় ৫০ মাইল (৮০ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটিকে প্রথম দেখতে পায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রিসের কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়।
ছটি কোস্টগার্ড জাহাজ, একটি নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, একটি সামরিক যান ও একটি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি জাহাজ নিখোঁজদের সন্ধানে এ অভিযানে অংশ নেয়।
জাহাজে থাকা অভিবাসীদের পরিচয় জানা জানা যায়নি। জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের গ্রিসের কালামাতা শহরের একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাড়ি দেয়ার অন্যতম জনপ্রিয় রুট হচ্ছে ভূ-মধ্যসাগর। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায়ই এ পথে ইউরোপ পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী। ফলে এ পথে প্রায়ই নৌকাডুবি এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।