মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি।।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ২ নং পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী মাস্টার পাড়া গ্রামে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামার স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ থেকে ৮ বছর আগে, ভেড়ভেড়ী মাস্টার পাড়া গ্রামের মৃত ছকির উদ্দিনের ছেলে জোবেদ আলী (জবাই) তার বাড়ীর সাথে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে প্রায় দুই হাজার বয়লার মুরগির একটি ফার্ম করেছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তেরর অনুমুতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।
মুরগির বিষ্টার গন্ধে এলাকায় পরিবেশ দূষণ সহ, শিশু থেকে বৃদ্ধরা পর্যন্ত নানা রকম রোগের শিকার হচ্ছে। এ মুরগির ব্যাবসা তিনি দীর্ঘ সাত আট বছর ধরে করছেন। এলাকাবাসী তাকে বার বার বলার পড়েও তিনি ( জোবেদ আলী) বয়লার ফার্মটি অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে না। গত ১৭ এপ্রিল ঐ বয়লার ফার্মে একই গ্রামের আমজাদুলের ছেলে হাসান আলী (০৮) তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে বয়লার ফার্মে বিদ্যুৎ তাড়িৎ হয়ে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এতে করে বয়লার ফার্মটি এলাকার মানুষের মনে আতংক সৃষ্ঠি করেছে।
ভেড়ভেড়ী মাস্টার পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় খামারটির আশে পাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে -ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারদিকে বসতবাড়ী। এসব বাড়ী থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
খামার মালিক জোবেদ আলীর দেখা না পেয়ে তার ছেলে কাছে মোবাইল নাম্বার নিয়ে তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি উল্ট পাল্টা কথা বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা রহমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।