আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিকে নিয়ে ভক্তদের জানার আগ্রহের কমতি নেই। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা আর্জেন্টিনাসহ আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক। চলুন সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক। গত ১৮ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে অনন্য এক মহাকাব্য রচনা করেন লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা এনে দেন তিনি। বর্তমানে ফিফা উইন্ডোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য চীনে রয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের সঙ্গে রয়েছেন মেসিও।
কিন্তু চীনে পৌঁছে মেসিকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। বেইজিংয়ের একটি গণমাধ্যম বলছে, আর্জেন্টিনার পরিবর্তে স্প্যানিশ পাসপোর্ট আনায় বেশকিছু সময় তাকে বেইজিং বিমানবন্দরে অবস্থান করতে হয়। এরপরেই ভক্তদের মনে প্রশ্ন উঠেছে, মেসি কি তাহলে আর্জেন্টিনার নাগরিক নয়?
মেসি অবশ্যই আর্জেন্টিনার নাগরিক। তবে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি স্পেন ও ইতালির নাগরিকত্ব রয়েছে লিওনেল মেসির। আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মসূত্রে তিনি দেশটির নাগরিক। আর স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনায় খেলাকালীন ২০০৫ সালে দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন মেসি। আবার কোনো কোনো মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে, ১৩ বছর বয়সেই স্পেনের নাগরিক হয়েছেন মেসি। এমনকি স্পেনের অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলার প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া মেসির প্রতি সম্মান জানিয়ে ইতালির নাগরিত্বও দেয়া হয়। প্রচলিত রয়েছে, মেসির পূর্বপুরুষ ইতালিতে বসবাস করতেন। ১৮৮৩ সালে তার পূর্বপুরুষরা আর্জেন্টিনায় বসতি স্থাপন করেন। ইতালির ফুটবলার রাজথ কুমার বলেছেন, মেসির পূর্বপুরুষ ইতালির শহর আঙ্কোনায় বসবাস করতেন। এমনকি বর্তমানে মেসিদের পরিবার ইতালিয় ঐতিহ্য বহন করেন।