শুধু ইন্টার মিয়ামি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো লিগের চিত্র বদলে দেবে লিওনেল মেসি। মিয়ামিতে সে যোগ দেয়ায় সেখানে আরও প্রতিভাবান ফুটবলার উঠে আসবে। বাড়বে লিগের জনপ্রিয়তাও। ব্রাজিলের গণমাধ্যম এনবিএ চ্যানেলে এমন মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলিয়ান স্টার নেইমার জুনিয়র। এছাড়া সতীর্থ হিসেবে লিওর সান্নিধ্য পাওয়াকে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় উপহারগুলোর একটিও মনে করেন তিনি।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের আকাশ থেকে খসে পড়ছে একের পর এক ফুটবল নক্ষত্র। পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর এবার ইউরোপ ছাড়ছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। গত দুই দশক ধরে ইউরোপিয়ান ফুটবলে রাজত্ব করে এখন ঘর ছেড়ে নতুন গন্তব্যে এ দুই তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে মেসির যোগ দেয়ার খবরে এরই মধ্যে দেশটির ফুটবলাঙ্গনে শোরগোল পড়ে গেছে। বেড়ে গেছে ক্লাবের ভক্ত-অনুরাগী, বেড়ে গেছে মিয়ামির টিকিটের দামও। শুধু কি তাই? ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন এ ক্লাব নতুন স্টেডিয়ামের কাজেও গতি বাড়িয়েছে।
মেসির মিয়ামিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের পরই ক্লাবটির জনপ্রিয়তা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। মিয়ামির বয়স পাঁচ বছর হলেও, লিওর সেখানে যোগ দেয়া তাদের জন্য আশীর্বাদতুল্য। মেসির সাবেক সতীর্থ থেকে শুরু করে ভক্ত – সবারই ধারণা, মেসির সংযুক্তিতে এমএলএসের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।
মেসির ইন্টার মিয়ামিতে পাড়ি জমানো এমএলএসের জন্য গেম চেঞ্জার হবে। বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে অনুসরণ করে এমএলএসে আরও প্রতিভাবান ফুটবলার উঠে আসবে। ব্রাজিলের এনবিএ চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন নেইমার।
নেইমার জুনিয়র বলেন, ‘মেসি যুক্তরাষ্ট্রের লিগের দৃশ্যপট পরিবর্তন করে দিতে যাচ্ছেন। যদিও তিনি ফুটবল ক্যারিয়ারে যেখানে গেছেন, সেখানেই সাফল্যের পদচিহ্ন ফেলেছেন। এবার এমএলএস আগের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে। আমার মনে হয়, প্রত্যেককে তার খেলা উপভোগ করা উচিত। কারণ, কতদিন তিনি সেখানে থাকবেন তা তো বলা যায় না। লিওর মিয়ামিতে যাওয়া আমার জন্য একই সঙ্গে আনন্দের এবং দুঃখের। কারণ, ফুটবলীয় ক্যারিয়ারে পাওয়া সবচেয়ে বড় উপহারগুলোর মধ্যে মেসি একটা। যুক্তরাষ্ট্রে মেসির নতুন অধ্যায় শুভ হবে বলেই আমার প্রত্যাশা।’
লিওনেল মেসি পিএসজি ছাড়ার পর গুঞ্জন ওঠেছে, ব্রাজিলিয়ান এ তারকাও নাকি পিএসজি ছাড়বেন। এরই মধ্যে, ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমে গুঞ্জন সৌদির কোনো ক্লাব এ ব্রাজিলিয়ানকে দলে ভেড়াতে মুখিয়ে আছে। তবে নেইমারও এখন মেসি-রোনালদোর মতো ইউরোপ ছাড়ার পথে হাঁটেন কি না, তাই দেখার বিষয়!