শেষবারের মতো শুক্রবার (৯ জুন) ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’ এর প্ল্যাকার্ড হাতে সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে দাঁড়ান জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোয় এই কর্মসূচিতে তাকে আর দেখা যাবে না বলে জানান এই কিশোরী জলবায়ুকর্মী। খবর রয়টার্সের।
টুইট বার্তায় গ্রেটা থুনবার্গ লেখেন, ‘তিনি স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। এর অর্থ জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘটের ডাক দেয়া তার পক্ষে আর বৈধ হবে না।’
তরুণ জলবায়ু কর্মীদের কাছে গ্রেটা থুনবার্গ এক অনুপ্রেরণার নাম। ২০১৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই জলবায়ু ইস্যুতে সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলন শুরু করেন গ্রেটা। তার একার এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
গ্রেটার সঙ্গে একাত্ম হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কিশোর বয়সীরা ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ বা ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’ নামে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে তারা।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সুইডিশ শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৯ বছর বয়সে তাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। তবে গ্রেটা তা সম্পন্ন করেছেন ২০ বছর বয়সে। জলবায়ু ইস্যুতে নানা কর্মসূচির ব্যস্ততায় স্কুলের পড়াশোনায় এক বছর পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
কিশোরী বয়স থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায়ই জলবায়ু ইস্যু নিয়ে হাজির হন গ্রেটা। ২০২১ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও পেয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকেও জার্মানিতে কয়লা ব্যবহারের বিরোধিতা করে আন্দোলন করতে গিয়ে আটক হন গ্রেটা। যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গ্রেটা থুনবার্গের স্কুল স্ট্রাইক বন্ধ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এখানেই শেষ নয় জলবায়ু নিয়ে তার আন্দোলনের জার্নি। বরং তার লড়াই শুরু হলো মাত্র। প্রতি শুক্রবার ভিন্ন কোনও রূপে আন্দোলনের কথা জানান কিশোরী এই জলবায়ুকর্মী।
তিনি বলেন, ‘এটা লড়াইয়ের শুরু মাত্র। জলবায়ু সংকট আরও খারাপ হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সমস্যাও প্রকট হচ্ছে। কাজেই এ বিষয়ে কথা বলা আমাদের দায়িত্ব।’