প্রিমিয়ার লিগে গত কয়েক মৌসুম ধরেই একচেটিয়া দাপট দেখাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে ব্যর্থ পেপ গার্দিওলার দল। ম্যানচেস্টারের দলটির সামনে এবার সেরা সুযোগ ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। অন্যদিকে, ইন্টার মিলান সাম্প্রতিক সময়ের বিচারে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও টুর্নামেন্টে তাদের অতীত ইতিহাস বেশ ভালো। তিন তিনটি ট্রফি জিতেছে মিলানের দলটি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক লড়াই হতে চলছে ইউরোপ সেরার ফাইনাল।
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে শনিবার (১০ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। ফাইনালকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই শহরটিতে পৌঁছে গেছে দুদল। শুধু তাই নয়, ফাইনালের ভেন্যুতে এক ধাপ অনুশীলনও সেরে ফেলেছে সিটি-ইন্টার।
ফাইনালের আগে কথার লড়াইটা অবশ্য জমেনি দুই কোচের। ভদ্রতার মুখোশটা এখনও রয়েছে দুজনেরই মুখে। তবে যতই প্রশংসা বাক্য ঝরুক না কেন, সিমোন ইনজাগি জানেন, স্বপ্নের শিরোপা ছুঁতে হলে তাকে নষ্ট করতে হবে গার্দিওলার কৌশলকে।
কাগজে-কলমে ফাইনালের লড়াইয়ে ফেবারিট ম্যানচেস্টার সিটি। হলান্ড, ডি ব্রুইনা, গুন্দোগানদের নিয়ে ভয়ংকর এক আক্রমণভাগ সিটিজেনদের। যার প্রভাবে পুরো মৌসুমেই ছড়ি ঘুড়িয়েছে তারা। প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপের পর এবার তাদের চোখ ইউসিএলের রুপালি ট্রফির দিকে। এটা জিতলেই যে রেড ডেভিলদের গড়া রেকর্ডে ভাগ বসাবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
কিন্তু এত সহজেই কি ছেড়ে দেবে ইন্টার মিলান। ইউসিএলের ছয় নকআউট ম্যাচে মাত্র ৩ গোল হজম করেছে দলটা। প্রতিপক্ষ আক্রমণে সেরা হলেও রক্ষণে যে ইতালিয়ানিরাই রাজা, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বরাবরই কিছুটা দুর্বল ম্যানসিটি। প্রিমিয়ার লিগে যার নজিরও আছে বেশ কয়েকটা। প্রতিপক্ষ ৫-৩-২ কিংবা ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে গেলেই নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন পেপ গার্দিওলা। অথচ ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলেই ফাইনালের পথ সুগম করেছে নেরাজ্জুরিরা। ইতালিয়ানদের তাই যতই আন্ডার ডগ বলা হোক না কেন ম্যাচে যে কেউ পরিষ্কার ফেবারিট নয়, তা তো পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।