মার্কিন সেনাদের ওপর নজরদারি করতে কিউবায় গুপ্তচর ঘাঁটি বানাবে চীন। এ লক্ষ্যে কিউবার সঙ্গে একটি গোপন চুক্তিতেও পৌঁছেছে এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটি।
তাইওয়ান ইস্যু আর সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফিলিপিন্সের ত্রিদেশীয় মহড়া নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে ওয়াশিংটন-বেইজিং’র মধ্যে। এই পরিস্থিতিতেই সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিউবায় গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরি করছে চীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বীপে ইলেকট্রনিক ইভসড্রপিং স্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য কিউবার সঙ্গে একটি গোপন চুক্তিতে পৌঁছেছে চীন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য জানেন এমন মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গুপ্তচর স্থাপনা তৈরি করা গেলে দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলেকট্রনিক যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করার সক্ষমতা চীনের হাতে চলে যাবে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই এলাকায় আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদর দফতর ফ্লোরিডার টাম্পায় অবস্থিত। এছাড়া বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ফোর্ট লিবার্টি আছে নর্থ ক্যারোলাইনায়।
গোয়েন্দা স্থাপনা তৈরি করা হলে কিউবার আশপাশের এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির ওপর নজরদারি ও জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বেইজিং।
তবে মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয় বলে দাবি করেছে বেইজিং। অন্যদিকে গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরির বিষয়ে কিউবার সঙ্গে চীনের চুক্তি হয়েছে এ ধরনের কোন তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।