ট্রান্সফার মূল্যের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে সিআইইএস ফুটবল অবসারভেটরি। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণামূলক সংস্থাটির মতে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। তবে তালিকায় নেই মেসি-নেইমার-রোনালদোর মতো ফুটবলারের নাম। ট্রান্সফার ফি-র ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ফুটবলারের তালিকা দেখে নেব এ প্রতিবেদনে।
‘অবশেষে সব কাজ সেরে, আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে করে যাব আশীর্বাদ, তারপর হব ইতিহাস’–সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার মতোই পৃথিবীর নিয়মে নতুনদের জন্য চিরায়ত নিয়মেই পুরোনোদের চলে যেতে হয়।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলও এখন দেখছে এই ভাঙাগড়ার খেলা। গেল দেড় দশক যারা ইউরোপের সঙ্গে বিশ্ব ফুটবল দাপিয়েছেন তাদের ক্যারিয়ারের সূর্য অস্তগামী। উঠে আসছেন নতুন তারকারা।
মাত্র শেষ হওয়া মৌসুমেও দেখা গেছে নতুন কিছু প্রতিভার ঝলক। ট্রান্সফার মূল্যের ভিত্তিতে বর্তমানে বিশ্বের দামি ১০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে সিআইইএস ফুটবল অবসারভেটরি। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণামূলক সংস্থাটি যে কাজ করে আসছে দীর্ঘ এক দশক ধরে।
তালিকার ১০ নম্বর নামটা যে কারো চোখ কপালে তুলবে। পিএসজির ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমেও করেছেন ৪১ গোল। কিন্তু ট্রান্সফার ভ্যালু কমেছে এই স্ট্রাইকারের। বর্তমানে তার বাজারমূল্য ১৬৩ মিলিয়ন ইউরো। যদিও এর আগে সেটা ছিল ২৫০ মিলিয়ন ইউরো।
তালিকার ৯ম স্থানে আছেন ফিল ফোডেন। ম্যানসিটির এই ইংলিশ মিডফিল্ডার দারুণ এক মৌসুম পার করেছেন। সিআইইএস-এর মতে, তার ট্রান্সফার মূল্য ১৬৬ মিলিয়ন ইউরো।
৮ম স্থানটা বায়ার্ন মিউনিখের তরুণ উইঙ্গার জামাল মুসিয়ালার দখলে। সম্প্রতি দারুণ প্রতিভার ঝলক দেখানো এই ফুটবলারের ট্রান্সফার বাজারে দর ১৭০ মিলিয়ন ইউরো। ৭ম স্থানে বার্সেলোনার নতুন সেনসেশান পাবলো গাভি। এখনও ১৯ স্পর্শ না করা এই মিডফিল্ডারকে ধরা হচ্ছে ভবিষ্যতের বড় তারকা হিসেবে। যার ট্রান্সফার মূল্য ১৭৪ মিলিয়ন ইউরো।
৬ষ্ঠ স্থানে আছেন গাভির বার্সা সতীর্থ পেদ্রি। প্রতিভাবান এই ফুটবলারের নামের পাশে আছে ১৭৮ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ট্যাগ। ৫ম স্থানে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো। মাদ্রিদিস্তানদের ভবিষ্যৎ তারকার মূল্য ধরা হয়েছে ১৮৪ মিলিয়ন ইউরো।
৪র্থ স্থানে আছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সদ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়া জুড বেলিংহ্যাম। সিআইইএস তার বাজার দর দেখিয়েছিল ১৯০ মিলিয়ন ইউরো। যদি ট্রান্সফার মার্কেট বলছে, রিয়াল তাকে কিনেছে ১০৩ মিলিয়ন ইউরো খরচে।
দীর্ঘদিনের শিরোপাখরা কাটানোর সুযোগ ছিল আর্সেনালের সামনে। কিন্তু এবারও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবে ক্লাবটির কিছু ফুটবলারের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখেছে ফুটবলবিশ্ব। তাদেরই একজন বুকায়ো সাকা। যার ভ্যালু দেখানো হয়েছে ১৯৫ মিলিয়ন ইউরো।
সাকার চেয়ে মাত্র ১ মিলিয়ন ইউরো বেশি ট্রান্সফার ভ্যালু নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়ালের আরেক ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র। তালিকার শীর্ষস্থানটা প্রত্যাশিতভাবেই দখলে আছে ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডের। সিটিজেনদের হয়ে এ মৌসুমে ৫২ ম্যাচে করেছেন ৫২ গোল। জিতেছেন দুটি শিরোপা। ঝুলিতে আছে একগাদা ব্যক্তিগত পুরস্কারও। আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়েও তার ক্লাবই ফেবারিট। এই স্ট্রাইকারের ট্রান্সফার ভ্যালু ২৪৫ মিলিয়ন ইউরো।
সিআইইএস-এর তালিকায় এক সময় শীর্ষেই থাকত মেসি-রোনালদো-নেইমারদের নাম। কিন্তু নিজেদের সেরা সময় পার করা এই তারকারা এবার বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে।