পিএসজি ছাড়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোর হেডলাইন ছিল: কোথায় যাচ্ছেন মেসি? অবশেষে বুধবার (৭ জুন) এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দল ইন্টার মিয়ামি হবে তার পরবর্তী গন্তব্য। তবে মেসি কেন আল হিলালের লোভনীয় প্রস্তাবটা গ্রহণ করলেন না–এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে।
বুধবার রাতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেসি নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি মিয়ামিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনও চুক্তির সব কাজ শতভাগ সারতে পারিনি। কিছু বিষয় বাকি আছে। তবে আমরা এই লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে সবাই ধরেই নিয়েছিল, মেসি বার্সেলোনা কিংবা আল হিলালে যোগ দেবেন। যদিও তালিকায় সামান্য সম্ভাবনা ছিল ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার। সেই সম্ভাবনাটাই শেষ পর্যন্ত সত্য হলো। চুক্তিতে আল হিলালের মতো লোভনীয় প্রস্তাব না থাকলেও, মেসি নিজের এবং তার পরিবারের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দুই বছরের জন্য সৌদির ক্লাব আল হিলাল মেসিকে দিতে চেয়েছিল ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি। কিন্তু মেসি তাদের এক বছর অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। আল হিলাল মেসির এই অনুরোধ ভালোভাবে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত তাদের না বলে দেন তিনি।
মেসি আল হিলালের এমন প্রস্তাবকে না বলার কারণ হতে পারে তার পরিবার। মেসি একজন পারিবারিক মানুষ। খেলা ছাড়া তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি মেসির স্ত্রী ও সন্তানরা সৌদি আরবে থাকতে চান না। আর লিও নিজেও সৌদির লাইফস্টাইলকে সেভাবে পছন্দ করতেন না। তাই বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব এলেও মরুভূমির দেশটিতে যেতে রাজি হননি মেসি।
সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিকেই বেছে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তা ছাড়া মিয়ামিতে মেসির একটি বাড়িও রয়েছে, যা এখন ভাড়া দেয়া আছে।
তবে মেসি যে নিজের অনেক ক্ষতি করে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিচ্ছেন তেমনটা নয়। বেকহ্যামের দল মিয়ামি মেসির চুক্তির অংশ হিসেবে অ্যাপলের সঙ্গে মুনাফা ভাগাভাগি এবং সেই সঙ্গে বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের শেয়ারের একটি অংশ পাবেন মেসি। এ ছাড়া অবসরের পর ক্লাবের অংশীদার হওয়ার সুযোগও থাকছে মেসির কাছে।