আজিজুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক।।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্কুল ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে ২ বখাটে যুবক। ৬ জুন মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ধলডাঙ্গা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধামেরহাট গ্রামের মোঃ জহির উদ্দিনের বখাটে পুত্র কাজল মিয়া(২১) ওই ছাত্রীকে স্কুল যাতায়াতের সময় গত কয়েকদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। গত ৫ জুন সোমবার বিকাল ৩ টার সময় উক্ত বখাটে যুবক কাজল মিয়া ও তার সহযোগী উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের মনজুর আলমের পুত্র মাসুদ রানা (২০) ঐ স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ও দাদীকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে আসে। নির্যাতীতা মেয়েটি জানায়, মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় বখাটে কাজল ও মাসুদ রানা তার পথ রোধ করে তার প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য চাপ দেয়।
সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাজল তার মুখ চেপে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সহযোগী মাসুদ রানা প্যান্টের পকেট থেকে একটি ছুরি বের করে তাকে এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঐ স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে, দুই বখাটে মোটর সাইকেলে যোগে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী রাফেল রানা জানান, মেয়েটি চিৎকার করে দৌড়ে এসে তার সামনে পরে গিয়ে জ্ঞান হারায়। পাশের বাসায় নিয়ে মেয়েটির প্রাথমিক চিকিৎসা করে করে প্রধান শিক্ষক কে খবর দেন তিনি। ছুরির আঘাতে মেয়েটির দুই হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় আহত ওই ছাত্রীকে ভুরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ওই রাতেই স্কুলছাত্রীর দাদী রহিমা খাতুন ভুরুঙ্গামারী থানায় উক্ত দুই বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা ও ফৌজদারী দন্ডবিধিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এই নিউজ লেখা পর্যন্ত এই মামলার কোন আসামীই গ্রেফতার হয়নি। ভূরুঙ্গামারীতে বখাটেদের উৎপাত বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে স্কুল ছাত্রীদের হয়রানীর একাধীক ঘটনা ঘটেই চলছে।