রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনীয় অঞ্চল খেরসনে দিনিপ্রো নদীর ওপর অবস্থিত নোভা কাখোভকা বাঁধ আংশিক বিধ্বস্ত হওয়ায় এর আশপাশের প্রায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, আনুমানিক প্রায় ৪২ হাজার লোক বন্যার কবলে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বুধবারের (৭ জুন) মধ্যে পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
তারা বলেন, নোভা কাখোভবা বাঁধটি খেরসন শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। বাঁধটি বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে খেরসনের পাশের দিনিপ্রো নদীর পানির উচ্চতা সাড়ে তিন মিটার বা ১১ ফুটেরও বেশি বেড়েছে। এরই মধ্যে শহরের ভেতরে হাঁটু সমান পানি হয়ে গেছে। লোকজন যা পারছে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (৬ জুন) নোভা কাখোভকা বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়। ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়েছে, ‘দখলদার রাশিয়ার সৈন্যরা কাখোভকা বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ধ্বংসের মাত্রা এতটাই যে, বাঁধ ধ্বংস হওয়ার ফলে পানির গতি ও আয়তন এবং এর ফলে কোন কোন এলাকা ডুবে যেতে পারে সে বিষয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।’
ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী বাঁধটি রাশিয়ার হাতে ধ্বংস হওয়ার কথা দাবি করলেও খেরসনের রুশ প্রশাসন বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। তবে রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের এক প্রতিবেদনে একটি বেনামী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাঁধটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং নিকটবর্তী নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাচ্ছে।
আরেক রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির এক প্রতিবেদনে নোভা কাখোভকার মেয়রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাঁধটি ইউক্রেনের সৈন্যদের হামলায় উড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট চওড়া এবং ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি ১৯৫৬ সালে কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশ হিসাবে দিনিপ্রো নদীর ওপর নির্মিত হয়েছিল। এতে নদীর উপরিভাগে ১৮ ঘনকিলোমিটার আয়তনের একটি জলাধার সৃষ্টি হয়েছে।