দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ লাখ বছর আগের কবরস্থান আবিস্কার করেছেন গবেষকরা। এটাই বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সমাধি বলে জানিয়েছেন তারা। কবরস্থানে ছোট আৃকারের মস্তিষ্কের ‘হোমো নালেডি’ প্রজাতির দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
হোমো নালেডির সঙ্গে মানুষের দূরগত সম্পর্ক (ডিস্ট্যান্ট রিলেশন) রয়েছে। এএফপির প্রতিবেদন মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানের পাশে কবরস্থানটি পাওয়া গেছে। সমাধিটি কমপক্ষে ২ লাখ বছর পুরোনো বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
গবেষক ও জীবাশ্মবিজ্ঞানী লি বার্গার সোমবার (৫জুন) বলেন, কবরস্থানটিতে তারা ‘হোমো নালেডির কয়েকটি নমুনা পেয়েছেন। এগুলো মাটির প্রায় ৩০ মিটার (১০০ ফুট) নিচে ছিল। হোমো নালেডি হলো প্রস্তুর যুগের স্তন্যপায়ী বর্গের প্রাণী, যারা গাছে চড়তে পারত।
লি বার্গার আরও বলেন, এগুলো স্তন্যপায়ী বর্গের প্রাণীর সবচেয়ে পুরোনো সমাধি। এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ বছর পুরোনো সমাধির আবিষ্কার করেছিলো বিজ্ঞানীরা। যেখানে মানুষ (হোমো সাপিয়েন্সের) দেহাবশেষ পাওয়া গেছিলো। এই সমাধি তার চেয়েও বেশি পুরনো।
লি বার্গার এর আগে বলেন, এই সমাধিগুলো কমপক্ষে খ্রিষ্টপূর্ব দুই লাখ বছর আগের বলে দাবি করেছিলেন। তার এ ঘোষণা বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। এর আগে প্রায় এক লাখ বছরের পুরোনো কবরস্থানের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায়। ওই সব কবরস্থানে ‘হোমো সাপিয়েন্স’ তথা মানুষের দেহাবশেষ ছিল।
হোমো নালেডির নামকরণ ‘রাইজিং স্টার’ গুহার নামে নামকরণ করা হয়েছে। সেখানে ২০১৩ সালে প্রথম হাড় পাওয়া গিয়েছিল। কবরস্থানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে খোঁড়া হয়েছিল। এরপর সেখানে মৃততেহগুলো মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। কবরস্থানগুলোতে অন্তত ৫জনকে দাফন করা হয়েছিল।
জীবাশ্মবিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ২ লাখ বছর পুরোনো এই কবরস্থানগুলো এটা প্রমাণ করে যে, হোমো সাপিয়েন্স বা বড় মস্তিষ্কের প্রাণী ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে সামাধির প্রচলন ছিল।