এস এস রাজামৌলি মানেই বক্স অফিসে সাফল্য। বাহুবলীর দুই পর্বই তার প্রমাণ। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। এর দু-বছর পর মুক্তি পায় ছবির দ্বিতীয় পার্ট ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’। দুটি ছবিই ঝড় তুলেছিল বক্স অফিসে। সে বছরের সব থেকে বড় হিট ছিল ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল এই ছবি। আয় হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। তবে বিপুল অঙ্কের বাজেটের এই ছবির জন্য টাকা কে দিল, সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন সময়।
অবশেষে প্রকাশ্যে এলো সত্যটা। এই ছবি বানাতে যেমন সময় লেগেছিল পরিচালকের, তেমনি বাজারে ধারদেনাও করতে হয় রাজামৌলিকে। প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ধার নেন পরিচালক এই ছবিটি বানানোর জন্য। ধার নেন চড়া সুদে। এই ছবির অভিনেতা রানা দগ্গুবতি জানান, পরিচালক এই ছবির জন্য প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা ধার করেন। পাঁচ বছরের জন্য প্রায় ২৫ শতাংশ সুদে এই বিপুল অর্থ ধার নেন।
যদিও ছবির সাফল্য নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন খোদ পরিচালকই। বাহুবলীর সময় যে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে মাস কয়েক আগে রাজামৌলি বলেন, ‘এই ছবিটা যদি সত্যি না চলে তাহলে যারা এই পথ চলায় আমার পাশে ছিলেন তাদের সবাইকে নিয়ে ডুবতাম।’ তবে পরিচালকের সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি, বরং রামধনু রং নিয়েই পাশ করেছে এই ছবি।