বর্তমান বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস সম্প্রতি গোপনে চীন সফর করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তার মতে, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে যোগাযোগের উন্নতি ঘটানোই ছিল তার এই সফরের লক্ষ্য। সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস চীন সফরে যান গত মাসে। আর এ নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল ও নতুন করে যোগাযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। কারণ, তাদের আশঙ্কা, দুই পরাশক্তির মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি দুর্ঘটনাবশত একটি বড় সংঘাতের দিকে নিতে যেতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন ও বৈঠক বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে। মূলত তারই প্রেক্ষিতে সিআইএ প্রধান চীন সফর করেছেন।
শুক্রবার (৩ জুন) রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, গত মাসে বেইজিং সফর করেন সিআইএ পরিচালক বার্নস। সফরকালে তিনি চীনের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে গোয়েন্দা চ্যানেলে যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। তবে বেইজিংয়ে কোনো রাজনৈতিক অথবা পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কোনো নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
এ ধরনের সফরের ক্ষেত্রে সিআইএ সাধারণত আগে থেকে কোনো ঘোষণা দেয় না। একইভাবে উইলিয়াম বার্নসের চীন সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি।
মূলত তাইওয়ান ও চীনের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি ইস্যুতে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতা ও রাশিয়ার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও এই উত্তেজনায় ঘি ঢালছে।