প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ওই স্ট্যাটাসে তসলিমার কথা বলেছেন বাংলাদেশের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণিকে নিয়ে।
অন্য মেয়েদের থেকে নায়িকা পরীমণিকে একটু আলাদাভাবেই দেখতেন বাংলাদেশি লেখক তসলিমা। এর কারণ হিসেবে নিজের ফেসবুক পেজের স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেছেন, পরে কী হবে কী হবে না এসব কথা চিন্তা না করে পরী অপ্রিয় সত্য কথা বলার সাহস রাখেন। তবে মনমানসিকতার উন্নতি এখনও তার হয়নি তাই অনেক আফসোসও করেন লেখিকা।
এর কারণ হিসেবে লেখিকা উল্লেখ করেন সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া তিন নায়িকার সঙ্গে পরীমণির স্বামী রাজের অশ্লীল কথাবার্তার ভিডিও। এ বিষয়ে তসলিমা মন্তব্য করেন, স্বামীর এসব ভিডিও দেখে ঢালিউডের আরেক নায়িকা সুনেরাহর প্রতি আঙুল তোলেন পরী।
লেখিকা মনে করেন, বিশ্বাস ভঙ্গ করে যদি পরীর স্বামী ১০ দিন ধরে অন্য নারীর সঙ্গে সময় কাটায় তবে দোষ স্বামীর না হয়ে ওই নারীর কেন হবে? নারী হয়ে অযৌক্তিকভাবে অন্য নারীর দিকে আঙুল তুললেও নিজের স্বামীর কোনো দোষ চোখে পড়ল না পরীর, আর এ নিয়েই হতাশ হয়েছেন লেখিকা।
সময় নিউজের পাঠকের জন্য তসলিমা নাসরিনের পোস্টটি তুলে ধরা হলো:
‘বাংলাদেশের সিনেমার নায়িকা পরীমণিকে আমি ইনোসেন্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট বলে মনে করি। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি জানিয়েছিলেন যে তার স্বামী রাজ তার গায়ে হাত তোলেন, এবং অতিষ্ঠ হয়ে তিনি রাজকে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছুদিন পর অবশ্য পরীমণি আপোস করেছেন। আবার সেই স্বামীর সঙ্গেই বাস করতে শুরু করেছেন।
রাজের বান্ধবীদের সঙ্গে কিছু ভিডিও রাজের ফেসবুক থেকে ভাইরাল হওয়ার পর পরীমণির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অনেকে। কিন্তু পরীমণি রাখঢাক না করে এবার জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ তার সঙ্গে গত দশদিন যাবৎ থাকছেন না। অর্থাৎ খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজের ফোন পরীমণির নাগালের বাইরে। আরও একটি তথ্য ফাঁস করেছেন পরী, তাহলো রাজ এখন থাকছেন সুনেরাহ নামের এক নায়িকার সঙ্গে। কী হবে না হবে তা না ভেবে পরীমণি অপ্রিয় কিছু সত্য বলে ফেলেন, এ কারণেই তাকে আমার ভিড়ের বাইরের মানুষ বলে মনে হয়। অনেকটাই আলাদা।
পরীমণি বলেছেন রাজকে তার জীবন থেকে ছিনিয়ে নেয়ার দায় সম্পূর্ণই সুনেরাহর। তিনি সুনেরাহকে ভৎর্সনা করলেন। আমি অবাক হলাম, রাজ যদি তার স্ত্রীকে ঠকিয়ে থাকেন, স্ত্রীকে চিট করে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক করেন, আনফেইথফুল হন, তা হলে দোষ রাজের না হয়ে অন্যের হবে কেন?
রাজ তো প্রাপ্তবয়স্ক লোক, তাই নয় কি? পরীমণি রাজকে দোষ দিলেন না। তিনি দোষ দিলেন সুনেরাহকে, মেয়েটিকে। অধিকাংশ মেয়েই পুরুষের দোষ দেখতে পান না। সমস্ত অঘটনের মূলে তারা মনে করেন, আছে মেয়েরাই। পরীমণিও তা-ই করলেন। ভিড়ে মিশে গেলেন।’