টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল প্রায় দোরগোড়ায়। চলতি মাসের ১০ তারিখ ভারতের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের পরপরই আবার অ্যাশেজ। মোটামুটি বেশ ব্যস্ত সময়ই অপেক্ষা করছে অজি ক্রিকেটারদের জন্য। মাঠের ক্রিকেটের এই ব্যস্ত সময়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
২০১৮ সালে বল বিকৃত করার দায়ে স্টিভেন স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মাঠের ক্রিকেটে ফিরলেও অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা এখনও আছে দুজনের ওপরই। তবে এর মধ্যেও খণ্ডকালীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্মিথ। তবে স্থায়ী দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে না তাকেও।
গেল বছর অ্যারন ফিঞ্চের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কে হবেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বেশ। স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্সদের সঙ্গে নাম উঠেছিল ওয়ার্নারেরও। ওয়ার্নারকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন যে নির্বাচকদের কলের অপেক্ষা করছেন তিনি। তবে সেই কল আর আসেনি।
এই কল না এলেও অন্য কল ঠিকই এসেছে ওয়ার্নারের। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ নিয়ে এখনও মামলা লড়তে হচ্ছে অজি ওপেনারকে। এই মামলার জন্য গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে ফোনে অনেকটা সময় নষ্ট করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি উল্লেখ করে ওয়ার্নার জানিয়েছেন, সেসময় বোর্ডের এমন আচরণে তিনি বেশ অপমানিতবোধ করেছিলেন। তার মতে, বোর্ড চাইলে বিষয়টা অনেক আগেই শেষ করতে পারতো।
তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা শুরুতেই শেষ করে দিতে পারতেন কর্মকর্তরা। অথচ টেস্ট খেলার দিনগুলোতেও আমাকে ফোনে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। এসবের কোনো দরকারই ছিল না। গোটা ব্যাপারটাই আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক ছিল। এ ভাবে খেলায় মন দেয়া খুব কঠিন। এভাবে ভাল পারফরম্যান্স করা যায় না।’
বল টেম্পারিংয়ের শাস্তির পর বিভিন্ন সময় কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে স্মিথকে। কিন্তু ওয়ার্নারের কথা বিবেচনা করা হয়নি এখনও। যদিও গত নভেম্বরে ওয়ার্নারের আবেদনের ভিত্তিতে তার শাস্তি মওকুফ করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়কত্বের ব্যাপারে আক্ষেপের নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘পুরো বিষয়টাই হাস্যকর। আমি চেয়েছিলাম একটা সমাধানের পথ খুঁজতে। আর কর্তারা উত্তর না দিয়ে সমানে বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ কথা বলতেই চাননি। দায়িত্ব নিতে চাননি। সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। এমন একটা প্রশাসন যেখানে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কেউ নেই।’