জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর ২টার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়।
এসময় বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। পরে বন্ধ হয়ে যায় সাক্ষ্যগ্রহণ। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক এজলাসে উঠে সাক্ষগ্রহণ শুরু করেন।
এদিন সাক্ষ্য দিতে এ মতিন অ্যান্ড কোং এর চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টিং এ কে আব্দুল মতিন আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ পরিচালক জহিরুল হুদা।
মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গত ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক।
২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেকের বিরুদ্ধে আরও ১৫টি মামলা রয়েছে। তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন।