করোনাকালীন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা আবাসিক হোটেলগুলোর বকেয়া বিল পরিশোধ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে হাসপাতালের সভাকক্ষে হোটেল মালিকদের হাতে চেক হস্তান্তর করেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, কোভিডের সময় বাংলাদেশের চেহারাই ভিন্ন রকম হয়ে গিয়েছিল। দেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। যা যুগযুগ ধরে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। আজ ৮ হোটেল মালিককে বকেয়া থাকা ৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হলো।
হোটেল মালিকদের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কোভিডে লকডাউনের সময় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসায় ঢুকতে দেয়া হতো না। তখন হোটেল মালিকদের সহায়তায় হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তখন কিছু বিল পরিশোধ করা হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে কিছু বিল বকেয়া রয়ে গিয়েছিল। সেই বিলগুলো আজ পরিশোধ করা হলো।
এদিকে রহমানিয়া হোটেলের মালিক ইয়াহিয়া চৌধুরী বলেন, কোভিডের সময় সব আবাসিক ও খাবার হোটেল বন্ধ ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের রাখা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার শুরুতে অনেক স্টাফ বাড়ি চলে গিয়েছিল। সেজন্য তাদের আবার হোটেলে ফেরত আনা হয়। প্রথম পর্যায়ে কিছু বিল পেয়েছি, কিছু বিল আটকা পড়ে যায়। ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের আন্তরিকতায় বিলগুলো পেয়েছি।
আজকে গুলশান লেকশোর ২ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা, সুন্দরবন হোটেলের ৪১ লাখ ২৫ হাজার, হোটেল উসমানির ৪৫ লাখ ৮ হাজার, হোটেল লাভিঞ্চির ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার, হোটেল কম্পাসের ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ও ৫৪ লাখ ২৪ হাজার, হোটেল রহমানিয়ার ৬৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেলে উপ পরিচালক ডা. খালেকুজ্জামান, হোটেলের মালিকসহ হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।