বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ/না ভোট বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার (৩০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে এক মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তা পাকাপোক্ত করতে ন্যক্কারজনকভাবে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেন জেনারেল জিয়া। লোক দেখানো সেই হ্যাঁ/না ভোটের আগে কোনো মিটিং-মিছিল পর্যন্ত হয়নি। ছিল না পরিচিতি ও প্রচারের ব্যবস্থা। রাস্তাঘাটে রিকশা-বাসে এবং মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনে জোর করে সামরিক পোশাক পরিহিত জেনারেল জিয়ার পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণার নামে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা লিখেন, ভোটের দিন ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্রে মানুষ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনেক শিশুকেও জোর করে ভোট দিতে নেয়া হয়। দিন শেষে ঘোষণা আসে, ৯৯.৪ ভাগ ভোট পেয়ে একচেটিয়াভাবে জয় লাভ করেছেন জেনারেল জিয়া! তার বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি!! এই হাস্যকর নির্বাচন এবং এর আগের-পরের ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়।
অতঃপর রাষ্ট্রীয় প্রবিধানকে পাশ কাটিয়ে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই নিয়মবর্হিভূতভাবে জিয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন উল্লেখ করে জয় লিখেন, সেই দলের হয়ে ১৯৭৮ সালের তথাকথিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন জিয়া। এই নির্বাচনে তিনি কোনো কোনো এলাকায় ১২০ ভাগ ভোট পেয়েছেন বলেও বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।