লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলস্টেশনে বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলাচল, এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
জানা যায়, লালমনিরহাট রেলস্টেশনে ৬ ফুট প্রস্থ ও ৪৬৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ফুটওভার ব্রিজটি পাকিস্তান আমলে তৈরি। এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় ২০০১ সালে। ২০১৭-১৮ সালে ফুটওভার ব্রিজটির ২১০ ফুট অংশ অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হয়। বাকি ২৫৭ ফুট সেতু এখনও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় যেকোনো সময় ধসে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
এ ছাড়া যাত্রীরা এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে গিয়ে ট্রেনে উঠতে গেলে বেশির ভাগ সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ফলে দীর্ঘ পথ ঘুরে আসতে হয়। আর স্টেশন এলাকায় রাতের বেলায় অধিকাংশ বাতি বন্ধ থাকায় অন্ধকারে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। এমনকি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের জন্য ফ্যান থাকলেও সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। স্টেশনে জনদুর্ভোগ ও যাত্রীদের সেবা নিয়ে লালমনিরহাট উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার বরাবর।
লালমনিরহাট উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক সুপেন্দ নাথ দত্ত বলেন, ‘লালমনিরহাট রেলস্টেশনে জনদুর্ভোগ ও যাত্রীদের সেবা নেই বললেই চলে। এসব বিষয় লিখিতভাবে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলস্টেশন মাস্টার গ্রেড-১ নুরন্নবী ইসলাম বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম উঁচু হওয়ায় যাত্রীদের কিছু সমস্যা হচ্ছে। আর রাতে প্ল্যাটফর্মে লাইট নিভিয়ে রাখতে যাত্রীরাই বলেন তাই লাইট বন্ধ করে রাখা হয়। এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন বুড়িমারী, সান্তাহার ও পার্বতীপুর রুটে ১২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। যার যাত্রীসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজের কাজ এ বছরেই শুরু করা হবে। আশা করা হচ্ছে ফুটওভার ব্রিজটি হলে যাত্রীদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।