ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করেন তিনি। বিবাহিত হলে স্বামীর সঙ্গে কৌশলে বিভেদ তৈরি করে তালাকের ব্যবস্থা করেন। পরে ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাসে করেন ধর্ষণ। গোপনে ধারণ করা সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন সব সম্পত্তি। তিনি আর কেউ নন, রাজউকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ সাহা। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
সচিব ও শিক্ষক দম্পতির একমাত্র সন্তান মেয়েকে মারা যাওয়ার আগে বাবা-মা তাদের সব সম্পত্তি লিখে দেন। সাবেক সচিব বাবার সূত্রে ২০০৮ সালে পরিচয় হয়েছিল রাজউকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহার সঙ্গে। দেবাশীষ সব সম্পত্তি আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন। মেয়েটির স্বামীর সঙ্গে তার বিভেদ তৈরি করে তালাকের ব্যবস্থাও করেন। এখানেই থামেননি দেবাশীষ। ভুক্তভোগী নারীর প্রায় সাত কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেন তিনি।
প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে হাল ছেড়ে দিয়ে মেয়েটি করেন দ্বিতীয় বিয়ে। এখান থেকেও মেয়েটিকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টায় দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেন দেবাশীষ।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছেন ডিবি কার্যালয়ে। বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ এবং গোপনে ধারণ করা সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন সম্পত্তি।
চলতি মাসের ৬ তারিখে রাজউকের অনুমতি ছাড়াই দেবাশীষ নেপালের ক্যাসিনোয় যান জুয়া খেলতে। সেখানে তিনি ২৩ দিন জেলও খাটেন। তার সম্পর্কে এসব তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এক মেয়ের সঙ্গে দেবাশীষ কুমার সাহার ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেই অভিযোগও পেয়েছি। কিছুদিন আগে ধর্ষণের মামলায় সে জেলও খেটেছে।’
দেবাশীষ সাহাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশ প্রধান।